শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আশরাফুল আবেদীন, ঈশ্বরদী থেকে॥

রবিবার সকালে ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়কের সড়ইকান্দিতে চাঁদপুর, লক্ষিকোলা, সড়ইকান্দি ও ফতেপুরসহ ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বাস্থ্যহানির শিকার দশ গ্রামের ভুক্তভোগীরা বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।

আব্দুর রশিদের পেপার মিলসহ কয়েকটি মিল কলকারখানার এসিডযুক্ত বিষাক্ত ও দূষিত পানি জমে আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কল কারখানার বিষাক্ত ও দূষিত পানি দ্রুত নিস্কাশনের মাধ্যমে কৃষি জমি রক্ষার দাবিতে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ঘন্টাকাল ব্যাপি অনুিিষ্ঠত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক আবুল হাসেম, আব্দুস সালাম, গোপাল অধিকারী,মইনুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা। বক্তারা অভিযোগ করেন, আব্দুর রশিদের পেপার মিলসহ কয়েকটি মিলের এসিডযুক্ত বিষাক্ত পানি পরিশোধন না করে দীর্ঘদিন থেকে রাতের অন্ধকারে মিল থেকে ড্রেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় নিকটস্থ দশ গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি পুকুরে পরিণত হয়েছে। যে জমিতে বর্ষাকালেও এত পানি জমে থাকেনা। পানি জমে জমির ফসল ও ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একই কারণে এলাকার বায়ু দূষণ হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বায়ু দুষিত হয়ে এলাকার মানুষের মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য হানি ঘটছে।

বক্তারা আল্টিমেটাম ঘোষণা করে বলেন, পনের দিনের মধ্যে সমস্ত আবাদী জমিতে জমে থাকা বিষাক্ত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজস্ব ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে মিল থেকে বিষাক্ত পানি পরিশোধনের মাধ্যমে নির্দিস্ট স্থানে পানি স্থানান্তর করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। লক্ষিকুলা গ্রামের মোয়াজ্জেমের বৃদ্ধ স্ত্রী সাবিয়া অভিযোগ করে বলেন,আমি খুবই গরীব মানুষ। আমার আয় রোজগারের কেউ নেই। সামান্য জমিতে ধান আবাদ করে কোন মতে বেঁচে আছি। এ অবস্থায় এই সামান্য ধানের জমিতে রশিদের পেপার মিলের বিষাক্ত রাসায়নিক পানি জমে থাকায় ধানের আবাদ হচ্ছেনা। তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন।

এদিকে মানববন্ধনে দেওয়া গ্রামবাসীদের বক্তব্যের অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য আব্দুর রশিদ পেপার মিলে গিয়ে মিলের মালিক আব্দুর রশিদকে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে সাংবাদিকরা একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। আবার পেপার মিলের দায়িত্বরত ম্যানেজার এডমিন খন্দকার নাইমুল রহমানের সাথে সাক্ষাত করে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে দেখা করেননি। এমনকি তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com